Wednesday, October 19, 2016

মহাবিজ্ঞানী শঙ্কু!

No comments :

বাংলা সাহিত্যে সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস বা গল্পের সংখ্যা একেবারেই কম। তার মাঝে প্রোফেসর শঙ্কু নিজের অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে সবার প্রিয়।
প্রোফেসর শঙ্কু ছোটখাট আত্মভোলা এক মানুষ, কিন্তু মাথা তার একেবারে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’! টমাস আলভা এডিসনের পরে ইতিহাসের সবচে বড় উদ্ভাবক তিনি। অদ্ভুত অদ্ভুত সব আবিষ্কারের মালিক এই মহাবিজ্ঞানী।
প্রোফেসর শঙ্কু-কে নিয়ে সত্যজিৎ রায় লেখা শুরু করেছিলেন ১৯৬১ সালে। সেই যে শুরু, এরপর থেকে শঙ্কুর গল্প চলেছে সত্যজিৎ-এর মৃত্যু অবধি। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত মোট ৪০টি গল্পে শঙ্কুর মজাদার আর অদ্ভুত নানা আবিস্কারে পাঠক হয়েছেন মুগ্ধ।
প্রফেসর শঙ্কুর গল্পগুলোকে কোন নির্দিষ্ট জাতের বলা চলে না। এদের বলা যেতে পারে সায়েন্স ফিকশন, আবার বলা যায় অ্যাডভেঞ্চারের গল্পও; ভ্রমণ অভিযানের আদলে রহস্য গল্প বললেও কি ভুল হবে? একবারেই না! কোনো ধারাভুক্ত না করাই ভালো, এগুলো শুধুই শঙ্কু-কাহিনী হয়েই থাকুক।
শঙ্কু কাহিনীগুলোতে একই সাথে আসে ভূগোলের সত্যি, বিজ্ঞানের তথ্য আর প্রকৃতির রহস্য। আধ্যাত্মিক বিষয়েও তার আছে প্রচুর জ্ঞান আর আগ্রহ। তাই পাতায় পাতায় আছে বিস্ময় আর মজার আবেশ।
‘প্রোফেসর শঙ্কু’ পড়তে পড়তে বারবার শ্রদ্ধা জাগে সত্যজিৎ রায়ের সৃজনশীলতার প্রতি, একটা মানুষের মাথায় এত কিছু কাজ করতো কী করে! ‘শঙ্কুসমগ্র’ প্রধানত কিশোর সাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত হলেও সব বয়সের পাঠকদেরই ভাল লাগার মত একটা বই। যারা কিশোরবেলায় এ বই পড়েছেন, তারা বড় হয়ে গেলেও অবসরে নিশ্চয়ই মাঝেমধ্যে সেই পুরনো শঙ্কুর অভিযানগুলোতে সঙ্গী হতে চাইবেন!

No comments :

Post a Comment